৪০৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ২৬ মার্চ ২০২৫

চার হাজার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জি-টু-জি ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্ত চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) পক্ষে কে চেংলিঅ্যাং এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্টে সই করেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। এ বন্দরটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রতে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় আজ চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের সঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর সম্পন্ন হলো। নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক অনন্য মাইলফলক।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে মোংলা বন্দর একটি আধুনিক, স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ও গ্রিন পোর্টে রূপান্তরিত হবে।

সিসিইসিসি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করবেন বলেও আশাবাদ জানান উপদেষ্টা। উপদেষ্টা মোংলা বন্দর ব্যবহার করে অত্যন্ত সহজভাবে বাংলাদেশ থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল-মূল, সবজি ও চিংড়ি মাছসহ অন্যান্য মাছ আমদানির জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চীনা রাষ্ট্রদূত আসন্ন আমের মৌসুমে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম ও আমজাত দ্রব্য আমদানি করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা (জিওবি ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা), এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য আধুনিক বন্দর সুবিধাসহ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি কন্টেইনার জেটি নির্মাণ; লোডেড এবং খালি কন্টেইনারের জন্য ইয়ার্ড নির্মাণ; জেটি এবং কন্টেইনার মজুত ও ইকুইপমেন্ট পরিচালন অটোমেশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি নির্মাণ। প্রকল্পটি যথাক্রমে একনেক এবং উপদেষ্টা পরিষদের ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ অনুমোদিত হয়।

বিজ্ঞাপন

আরএমএম/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।