ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন

দরপতন থেমে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে কমে গেছে লেনদেনের গতি। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে ভালো, মন্দ, মাঝারি সব গ্রুপের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে অধিকাংশ মিউচুয়াল ফান্ডের দাম। ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপের ২২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১২৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৫৫টির এবং ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ‘বি’ গ্রুপের ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ২৪টি এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের ৯৪টি কোম্পানির মধ্যে ৫৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৮টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে ২২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির। আর ৮০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
- আরও পড়ুন
হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিতে চাইলে আসতে হবে পুঁজিবাজারে - শেয়ারবাজার সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন
- ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে
সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৮ লাখটাকার। ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- শাহিনপুকুর সিরামিক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, বিচ হ্যাচারি, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, উত্তরা ব্যাংক, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এমএএস/ইএ/জেআইএম