৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৫৮ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) শেষে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পিছিয়ে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আলোচ্য আট মাসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২০ কোটি টাকা। ওই একই সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মধ্যপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।
এর আগে ছয় মাস শেষেও ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটতি ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে।
- আরও পড়ুন
- হিলিতে ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা
- ৪ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩০ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা
- ছয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা
গবেষণা ও পরিসংখ্যানের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা; গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, অর্থাৎ আদায় কমেছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ কম।
স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। অন্যদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে আদায় হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে আদায় বেড়েছে ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এর আগে ছয় মাস শেষেও ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটতি ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলছে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
এসএম/এমআরএম/জিকেএস