গালফ ফুড ফেয়ারে অংশ নিলো প্রাণ

বিশ্বের প্রতিটা দেশে পণ্য পৌঁছে দিতে এবং আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি আরো সুসংহত করতে কাজ করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। এ লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খাদ্যপণ্যের মেলা গালফ ফুড ফেয়ারে অংশ নিয়েছে দেশীয় খাদ্যপণ্যের এ প্রতিষ্ঠান।
আরব আমিরাতের দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলায় পাঁচ শতাধিক পণ্য প্রদর্শন করছে গ্রুপটি।
এ মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে খাদ্য ও বেভারেজ পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মিলিত হয়। এবারের গালফ ফুড ফেয়ারে ১২৯টির অধিক দেশ থেকে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলায় প্রাণসহ বিশ্বের খ্যাতনামা উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অংশ নিচ্ছে।
প্রাণ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (এক্সপোর্ট) মিজানুর রহমান বলেন, গালফ ফেয়ার সবসময় খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠানগুলোও নতুন নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে হাজির হয়। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি উৎপাদন সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজ ও উপকরণ সম্পর্কে অবহিত হন। এছাড়া বড় বড় কোম্পানি অংশ নেওয়ায় তাদের পণ্য সম্পর্কে এবং ভোক্তার আচারণে বিশ্বব্যাপী কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে সেটি বোঝা যায়। পাশাপাশি বিদ্যমান আমদানিকারকের কাছে নতুন পণ্য ও সেবা তুলে ধরা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাণ গ্রুপ ২০১৩ সাল থেকে গালফ ফেয়ারে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ আমদানিকারক প্রাণের স্টল পরিদর্শন করেন। এবার প্রাণ গ্রুপের স্টলে রয়েছে জুস ও বেভারেজ, বিস্কুট ও বেকারি, স্ন্যাকস, নুডলস, স্পাইস, কালিনারি ও ফ্রোজেন ফুডস ক্যাটাগরির বিভিন্ন পণ্য। এবারের মেলায় বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভারড ড্রিংক, নানান ভ্যারিয়েন্টের বিস্কুট, জুস, স্পাইস, ওয়েফার, নুডলস ও ফ্রোজেন ফুডসের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবে প্রাণ।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ২০২৫ সালে প্রাণের লক্ষ্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা। এ লক্ষ্যে নিজেদের নতুন পণ্য নিয়ে ও বিদ্যমান পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে প্রাণ গালফ ফুড ফেয়ারে অংশ নিচ্ছে। মেলায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং নতুন বাজার ধরার ওপর গুরুত্ব দিবে। বর্তমানে প্রাণের পণ্য ১৪৮টি দেশে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য দ্রততম সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রাণের পণ্য রপ্তানি করা।
এএমএ/জেআইএম