সরকারের কাছে ব্যবসায়ীর প্রশ্ন

ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

‘ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট করবো আমরা? প্যাকেটে বিস্কুটের পরিমাণ আর কত কমাবো? এভাবে ছোট আর কমাতে কমাতে খালি প্যাকেট দিতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান খাবারে আর ভ্যাট-ট্যাক্স বসাবেন না।'

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এমসিসিআই কনফারেন্স হলে জাগো নিউজ আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। 

বিজ্ঞাপন

ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট হবে

শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য বিস্কুট একটি পুষ্টিকর খাবার। ভ্যাট বাড়ার ফলে প্রস্তুতকারকরা আর কম দামে বিস্কুট উৎপাদন করতে পারবেন না। আর কত ছোট করতে হবে, বিস্কুটের পরিমাণ আর কত কমাতে হবে। এতে নিম্ন আয়ের অপরিহার্য উৎস বন্ধ হয়ে যাবে, ভ্যাট বাড়লে খালি প্যাকেট দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

‘আমরা এক মাস ধরে আন্দোলন করছি ভ্যাট কমানোর জন্য। এখনো মাঠে আছি। আশা করেছিলাম ড. ইউনূস সরকার আমাদের বিষয়টা দেখবেন, কিন্তু সে আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। খাদ্যপণ্য ভ্যাটমুক্ত থাকা দরকার। অথচ উন্নত দেশ ইংল্যান্ডে খাদ্যপণ্য ভ্যাটমুক্ত’ বলেন তিনি।

মূল্য সংযোজন কর এবং সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ বিস্কুটসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যে প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি টাকা ভ্যাট দিচ্ছে, এর ফলে তাকে ৩০ কোটি টাকা দিতে হবে। তাহলে সে শিল্প কীভাবে টিকবে?

এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, দেশের মধ্যে যারা ভ্যাট দেন তাদের ওপরই এর বোঝা চাপানো হচ্ছে। অথচ একটা বড় অংশ ভ্যাট নেটের বাইরে। আমাদের নেট বাড়ানো উচিত। একই সঙ্গে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যে ভ্যাট কমানো জরুরি।

জাগোনিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ এবং সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ, ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, এসিআই ফুডসের চিফ বিজনেস অফিসার ফারিয়া ইয়াসমিন, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ উদ্দিন নাসির, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ও রাজীব চৌধুরী,  বাপা সভাপতি এমএ হাশেম, ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা, সাবেক ব্যাংকার সাইফুল হোসেন ও সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ইএআর/এসএনআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।