বুড়িমারী বন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাথরের আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটানের বোল্ডার পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানি -রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রাইয়ান আশয়ারী রছি।
ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার পাথরের আমদানি মূল্য বেশি হওয়ায় বুড়িমারী বন্দরের আমদানিকারকরা ব্যাপক লোকসানে পড়ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে জানুয়ারিতে পাথরের ডলার মূল্য কমাতে ভারত-ভুটানের রপ্তানিকারকদের চিঠি দিয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন।
গত ৪ ও ১৬ জানুয়ারি ব্যাংকিং সুদ ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাজার মূল্যের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে ভারত ও ভুটানের পাথর রপ্তানিকারকদেরকে মূল্য পুনর্নির্ধারণে চিঠি দেয় অ্যাসোসিয়েশন। চিঠির সদুত্তর না পেয়ে ১৯ জানুয়ারি সভা করে বুড়িমারী অ্যাসোসিয়েশন।
সভায় ব্যবসায়ীক লোকসান ঠেকাতে ভুটান থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিক টন ১৫ ডলার ও সামসি স্টোন ১৪ ডলারে এবং ভারতের বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিক টন ১০ ডলারে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করতে সিদ্ধান্ত জানায় বুড়িমারী আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। না হলে ১ ফেব্রুয়ারি হতে সাময়িকভাবে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার কথাও ওই দুই দেশের রপ্তানিকারকদেরকে জানানো হয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, সকল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন মিটিং করে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এ রেটে যদি তারা না দেয় তাহলে আমদানি বন্ধ থাকবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি- রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রাইয়ান আশয়ারী রছি বলেন, ভুটানি এবং ভারতের বোল্ডার পাথরের বর্তমান দাম নির্ধারণে সেখানকার রপ্তানিকারকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া না পাওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাথর আমদানি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিউল হাসান/এএইচ/জেআইএম