খুলনায় নাগালে সবজি, চড়া চালের বাজার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খুলনা
প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খুলনার বাজারে শীতকালীন সব সবজির দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। অন্য সবজিগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে চাল, মুরগি ও মাছের দাম এখনও চড়া।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) খুলনা নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

রুপসা বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, গল্লামারি বাজার এবং নতুন বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, পেঁপে ও শালগম ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৪০ টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, শিম ৩০ টাকা ও শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিক আলু ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা ও রসুন ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুলনায় নাগালে সবজি, চড়া চালের বাজার

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছ ১৩০-১৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, টেংরা ৫০০-৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে, পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চালের বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৮৮ টাকা, মানভেদে মিনিকেট ৮০-৮৫ টাকা, মোটা চাল ৫৭-৬০ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, কাটারিভোগ ৮২-৮৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত পোলাও চাল ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নতুন বাজারের ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া বলেন, শীতকাল প্রায় শেষের পর্যায়ে। তবে সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। বিশেষ করে টমেটো, ফুলকপি এবং পাতাকপি একদম পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে সবসময় পাওয়া যায় এমন সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে।

গল্লামারি বাজারের ব্যবসায়ী গনি মিয়া বলেন, আলু আর পেঁয়াজের মজুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অনেক কমেছে। রসুনের দাম আগের মতোই আছে। তবে রসুনের দাম খুব শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই।

বিজ্ঞাপন

খুলনায় নাগালে সবজি, চড়া চালের বাজার

বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী সাকিব ইসলাম বলেন, চালের দাম একটু বেশি। আমরা পাইকারি বিক্রি করি। বস্তাপ্রতি সীমিত লাভ করতে পারি। তবে চালের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সিন্ডিকেটের সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরিবহন ব্যয়ের ওপর ৪-৫ টাকা দাম কম-বেশি হয়।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা জামশেদ ইসলাম বলেন, সবজির দাম তুলনামূলক অনেক কম। মাছ-মুরগির দাম গত এক মাস একটু বেশি। তবে চালের দাম লাগামহীন। মিনিকেট চাল ৮০ টাকার নিচে পাওয়াই যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

গল্লামারি বাজারে আসা লিটন আহমেদ বলেন, সামুদ্রিক মাছের দাম একটু কম। তবে ঘেরের মাছের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি। শাকসবজির দাম কম হলেও চাল কিনতে বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজার ব্যালেন্সের মধ্যে নেই।

মো.আরিফুর রহমান/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।