ক্ষেতের ৪ টাকার মুলা খুচরা বাজারে ১৫

রংপুরে খুচরা বাজারে মুলার দাম কিছুটা বাড়লেও পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। কৃষক পর্যায়ে মুলার দাম আরও শোচনীয়। অথচ হাত বদলেই মুলার দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।
বৃহস্পতিবার (৩০) জানুয়ারি রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারে সেই মুলার দাম ৬-৮ টাকা।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষকের কাছ থেকে মুলা কিনে বাজারে নিয়ে আসার পরিবহন ও শ্রমিক খরচ দিতে হয়। সব খরচ যোগ করে সামান্য কিছু লাভে ৬-৮ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি করছি।’
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে ৬-৮ টাকা কেজি দরে মুলা কিনে খুচরা পর্যায়ে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। একমাস আগেও খুচরা বাজারে মুলার দাম ছিল ৮-১০ টাকা। এখন মাঠে মুলার ফলন কমে আসায় দাম কিছুটা বেড়েছে ‘
অথচ কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। নগরীর নজিরেরহাট এলাকার মুলাচাষি ফারুক হোসেন ফিরোজ বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে মুলা আবাদ করতে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন পাওয়া যায় ৫০-৮০ মণ। সে হিসেবে বাজারে এখন মুলার যে দাম তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষেত থেকে মুলা পাইকারি বিক্রি করতে হচ্ছে ৪-৫ টাকা কেজি। অথচ ঠিকই এই মুলা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে তিনগুণ বেশি দামে। লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।’
সিও বাজারে মুলা কিনতে আসা গৃহবধূ ঝরনা খাতুন বলেন, ‘কয়েকদিন আগের তুলনায় এখন দাম একটু বেশি। আলু ও বেগুনের সঙ্গে সামান্য কিছু মুলা দিয়ে সবজি রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। এজন্য মুলা কিনতে এসেছি। ৩০ টাকায় দুই কেজি মুলা কিনেছি।’
এ বিষয়ে রংপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নির্দিষ্টভাবে মুলার ওপর অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তবে সব ধরনের সবজির ওপর বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। এখন সবজি বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। মুলার দামের বিষয়ে পদকক্ষেপ নেওয়া হবে।
জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম