৫ বছরেও চালু হয়নি কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল
![৫ বছরেও চালু হয়নি কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/madari-1-20250129214003.jpg)
নির্মাণের পাঁচ বছর পরও চালু হয়নি মাদারীপুরের কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল। এতে ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কেই পরিবহনের যাত্রীরা ওঠানামা করছেন। এতে করে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের মে মাসে জেলার কালকিনি উপজেলায় ১ একর ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরের বছর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত বিলের সব টাকাও তুলে নেয় মিজান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পাঁচ বছর পরও নবনির্মিত বাস টার্মিনালটি চালু হয়নি। ফলে এখানে সন্ধ্যা হলেও মাদক সেবী আর বখাটেদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়। অপরদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়াও কালকিনির ভুরঘাটা এলাকার বড় একটি অংশ দখল করে রেখেছে অটোবাইক (ব্যাটারিচালিত রিকশা)। এতে করেও ওই এলাকায় ভিড় থাকায় যানবাহন থেকে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা ওঠানামা করছেন।
বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোনারতরী বাসের যাত্রী আফিয়া বেগম জানান, কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা এলাকাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া মহাসড়কে ওপরে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের বাসে উঠতে হয় আবার নামানো হয়। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে পৌর টার্মিনালটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।
সাকুরা পরিবহনের চালক মো. মামুন বলেন, মহাসড়কের মধ্যে আমাদের যাত্রী ওঠানামা করাতে হচ্ছে। তাই এতে করে ঝুঁকি বাড়ছে। এ জন্য সবার উপকারের কথা চিন্তা করে বাস টার্মিনালটি চালুর দাবি জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করা দরকার। কাজ শেষ হবার পাঁচ বছর হলেও এখানো চালু না হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। জায়গাটি নিরিবিলি থাকায় বখাটের আড্ডা দেয় আর মাদক সেবন করে।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বলেন, কেন চালু করতে পারেনি সেটা বলতে পারবো না। তবে এখন বাস টার্মিনালের কিছু কাউন্টার করতে হবে। এ ব্যাপার নিয়ে সবার সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে কাউন্টারগুলো করবো।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোহাম্মদ সজীব বলেন, পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণের সময় পরিকল্পনার অভাব ছিল। সেখানে কাউন্টার প্রয়োজন অন্তত ৩০টি। কিন্তু নির্মাণের সময় বাস কাউন্টার তৈরি করেছে মাত্র সাতটি। বিপুল সংখ্যক কাউন্টার না থাকায় এটি চালু করতে বিলম্ব হচ্ছে। বাস টার্মিনালটি শিগগির চালুর জন্য কালকিনি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/জিকেএস