শুষ্ক মৌসুমে ফুলজোড় নদীতে খরস্রোত
![শুষ্ক মৌসুমে ফুলজোড় নদীতে খরস্রোত](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/river-1-20250129210812.jpg)
শুষ্ক মৌসুমে নাব্য হারিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ফুলজোড় নদী যখন মৃতপ্রায়, ঠিক সেই সময়ে হঠাৎ নলকা ইউনিয়নের নদীর ফরিদপুর অংশে খরস্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গত মৌসুমে কোনো স্রোতই ছিল না।
স্থানীয়রা বলছেন, উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে নদীর এই অংশে এমন খরস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। তবে নদীতে খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করায় এমনটা হচ্ছে বলে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নলকা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামকে আলাদা করেছ ফুলজোড় নদী। ফলে নদীর পূর্ব ও পশ্চিম অংশের বাসিন্দাদের নৌকা অথবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। কিন্তু এবার নদীতে খরস্রোতের কারণে রশি ধরে নৌকায় পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। আবার বাঁশ ও কাঠের তক্তা বিছিয়ে বানানো সাঁকোটিও ভেঙে গেছে। এসব মিলে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ।
নদীপাড়ের হোড়গাঁতী গ্রামের আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিবছর এই মৌসুমে বাঁশের তৈরি ফাঁদ দিয়ে আমরা মাছ শিকার করি। এবার নদীতে হঠাৎ খরস্রোত দেখা দিয়েছে। ফলে আমরা মাছ শিকার করতে পারছি না।’
রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা খাতুন বলেন, ফুলজোড় নদীতে খরস্রোতার কথাটি শুনেছি। তবে কেন এমন হলো সে বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক ব্যাখা দিতে পারবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা পরস্পর আড়াআড়িভাবে অবস্থান করলে কঠিন শিলা অপেক্ষা কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় হয়। ফলে ওই অংশে নদী কিছুদূর পরপর খাড়াভাবে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে ওপর থেকে নিচে নেমে আসে এবং অসম ঢালের সৃষ্টিতে খরস্রোতা হয়। তবে নদীর ওপরিভাগ খনন করলে খরস্রোতা হবে না বলে তিনি জানান।
এম এ মালেক/এসআর/জিকেএস