ট্রেন বন্ধে ৭ হাজারের বিমানের টিকিট হয়ে গেলো ১২ হাজার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিলেট
প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
ফাইল ছবি

রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিলেট থেকে ঢাকা বিমানের টিকিটের দামও বেড়ে যায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিমানের যাত্রীরা।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশের মতো সিলেটেও কর্মবিরতি শুরু করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় রেল যোগাযোগ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েন রেলের যাত্রীরা। অনেকে বাধ্য হয়ে বাসে করে গন্তব্যে যান। কেউ কেউ আবার বিমানে করে ঢাকায় গেছেন।

এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাস ও বিমানপথে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। বাস স্টেশনগেুলোতে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও ভাড়া বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়নি। তবে আকাশ পথে বেড়ে যায় বিমানের ভাড়া।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ২৮ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকা বাংলাদেশ বিমানের টিকিটের দাম ছিল ৭ হাজার ১৯৯ টাকা, সাড়ে ৭টায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট ছিল ৭ হাজার ২০০ টাকা এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে নভোএয়ারের সিলেট-ঢাকা একটি ফ্লাইটে টিকিটের দাম ছিল ৬ হাজার ৭০০ টাকা।

ট্রেন বন্ধে ৭ হাজারের বিমানের টিকিট হয়ে গেলো ১২ হাজার

কিন্তু মঙ্গলবার রাতে বিমানের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ১৯৯ টাকা। তবে টিকিটের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা তুহিন আহমদ বলেন, বিমানের টিকিটের দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যখন খুশি তখনই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বাংলাদেশ বিমানের টিকিট ৫ হাজার থেকে ৬ হাজারের মধ্যে ছিল। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। ফলে দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার আরও বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা সিলেটবাসীর সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। অনেক সময় বিমানের সিট খালি থাকে। তবুও দাম কমানো হয় না।

বেসরকারি চাকরিজীবী এম মিফতাহ হাসান বলেন, বিমানের টিকিটের কোনো হিসাব নেই। কখনও দাম কমে যায়, আবার কখনও এক লাফে ২ থেকে ৩ হাজার টাকাও বেড়ে যায়। এটা তাদের একটা ব্যবসায়িক পলিসি থাকতে পারে। কিন্তু কোনো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভাড়া বাড়ানো উচিত নয়। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার সকাল থেকে শিডিউল মোতাবেক সব ট্রেন সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আহমদ জামিল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।