বিদেশেও যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের চ্যাপা

এসকে রাসেল
এসকে রাসেল এসকে রাসেল , জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
বছরে শতকোটি টাকার চ্যাপা শুঁটকির বাণিজ্য

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য ‘চ্যাপা শুঁটকি’। শত বছর ধরে এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এ চ্যাপা। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় চ্যাপার ব্যবসা করছেন অনেকে। প্রতি হাটবার ৩-৪ কোটি টাকার চ্যাপা বিক্রি হয় এ বাজারে।

ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার সবচেয়ে বড় হাটের নাম ‘বড় বাজার’। সপ্তাহে দুদিন শুঁটকির হাট বসে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বসা এ হাটে প্রতিদিন ৩-৪ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়। বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্য হয় চ্যাপা শুঁটকির। জেলার নিকলী, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম ছাড়াও পাশের সিলেট এবং সুনামগঞ্জ থেকে শুঁটকি আসে এ বাজারে।

বিজ্ঞাপন

বিদেশেও যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের চ্যাপা

চ্যাপা তৈরির মূল উপাদান পুঁটি মাছ। হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জে বর্ষার পানি নেমে গেলে প্রচুর পরিমাণ পুঁটি মাছ ধরা পড়ে। এসব পুঁটি মাছের নাড়িভুঁড়ি ফেলে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিদেশেও যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের চ্যাপা

বড় বাজারের দয়াল ভাণ্ডারের ম্যানেজার হারুন অর রশীদ জানান, কার্তিক মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে চ্যাপা শুঁটকির মৌসুম। এ ছয়মাসে আমাদের কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে শুঁটকি নিয়ে যান।

সুনামগঞ্জ হাওর থেকে মাছ সংগ্রহ করে বড় বাজারের শুঁটকির আড়তে নিয়ে আসেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, এ বাজারে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারছেন। তাই এখানেই শুঁটকি নিয়ে আসেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিদেশেও যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের চ্যাপা

লোকনাথ ভাণ্ডার মালিক সুকুমার বর্মণ বলেন, বড় বাজার কেবল শুঁটকির হাটের জন্য বিখ্যাত নয়। এটি শতবর্ষী ঐতিহ্যের প্রতীক। এটি বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এ বিষয়ে বড় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বড় বাজারের শুঁটকি হাট শুধু ব্যবসার স্থান নয় এটি একটি ঐতিহ্য। বাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে আরও অনেক ব্যবসায়ী আসতেন।

বিজ্ঞাপন

বিদেশেও যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের চ্যাপা

কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, মৎস্য অধিদপ্তর শুঁটকি শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করছে। মাছ উৎপাদনসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

এসকে রাসেল/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।