আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন

দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দিলো বিএসএফ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপ-পিলার ৪৭-৩৭ নম্বর সীমান্তের প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ ভারতীয় ৩০-৩৫ জন নির্মাণশ্রমিককে দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি খুঁটির মধ্যে প্রায় চার ফুট উচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। শূন্যরেখার দেড়শ গজের শেষ অংশে স্থানীয়রা এসব স্থাপন করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেন।

দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দিলো বিএসএফ

৫১ রংপুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেন। এতে কিছু সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখেন বিএসএফ সদস্যরা। পরে কয়েকশ বিএসএফ সদস্য এবং লোকজন নিয়ে আবারও বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকে বিএসএফ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ সদস্য মোতায়েন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দিলো বিএসএফ

বিজিবি ও সীমান্তের স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখার দেড়শ গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছেন।

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে তারা জোরপূর্বক বেড়া নির্মাণ করছে।’

দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দিলো বিএসএফ

এ বিষয়ে বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) আমীর খসরু বলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর আবার শুরু করে। এ নিয়ে টান টান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

রবিউল হাসান/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।