চরমপন্থি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বনে যান টিপু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খুলনা
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গোলাম রাব্বানী টিপু

চরমপন্থি নেতা থেকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠেন কক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত গোলাম রাব্বানী টিপু। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টের সামনে নিহত হন তিনি। এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

টিপু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে চরমপন্থি নেতা ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

সূত্র জানিয়েছে, গোলাম রব্বানী টিপু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে চরমপন্থি নেতা ছিলেন। খুলনার দৌলতপুরে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী খুলনার মন্নুজান সুফিয়ানের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। বাগিয়ে নেন খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদ। এরপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরমপন্থি নেতা হুজী শহীদের সঙ্গে টিপুর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০১৫ সালে হুজি শহীদকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় হুজি শহীদের পরিবার মামলা করে। ওই মামলার আসামি ছিলেন গোলাম রব্বানী টিপু।

হুজি শহীদ ছিলেন তেল ব্যবসায়ী। তার মৃত্যুর পরে গোলাম রব্বানী টিপু জমিজমা ব্যবসা, তেল ডিপো থেকে চাঁদা নেওয়া, জুয়ার ক্লাব নিয়ন্ত্রণ, দৌলতপুরের মাহিন্দ্রা সিএনজি স্ট্যান্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। একটা পর্যায়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় টিপুর। এরপর টিপু ২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে সংসদ নির্বাচনে মন্নুজান সুফিয়ানের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনের পক্ষ নেন। এরপর থেকে এসএম কামাল হোসেনের দৌলতপুরের একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পান টিপু।

সূত্র আরও জানায়, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা, দৌলতপুরে জুয়ার ক্লাব পরিচালনা, জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে টিপুর বিরুদ্ধে। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান।

খুলনা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী জাগো নিউজকে বলেন, গোলাম রব্বানী টিপু কক্সবাজারে নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। তিনি খুলনার দৌলতপুর উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা বিচারাধীন।

আরিফুর রহমান/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।