এক দোকানে ১৩ পদের পিঠা, প্রতিদিন বিক্রি ২০ হাজার টাকা
শীত পড়তেই বিভিন্ন স্থানে পিঠার দোকান চোখে পড়ে। যার বেশিরভাগের দুই কিংবা তিন পদের বেশি পিঠা বানাতে দেখা যায় না। তবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জামাই-শ্বশুর নামের একটি দোকানে শীতের মৌসুমে ১৩ পদের পিঠা তৈরি হয়। যাতে পিঠাপ্রেমী ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
নাসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাসসাফ শপিং সেন্টারের পেছনে দোকানটির অবস্থান। এর মালিক হলেন মো. মনসুর।
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন স্থানে পিঠা বিক্রি করে আসছেন। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মৃত মুসলিম বেপারীর ছেলে তিনি।
প্রতিদিন দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই পিঠাপ্রেমীদের উপচেপড়া সমাগমের দেখা মেলে তার দোকানে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খান কর্মচারীরা।
‘জামাই-শ্বশুরে’র দোকানে যেসব পদের পিঠা বিক্রি হয়: নকশি পিঠা, মালপোয়া পিঠা, চিকেন পিঠা, মিষ্টিপুলি ও সেদ্ধপুলি পিঠা, তেলের পিঠা, পাটিসাপটা, লবঙ্গলতিকা, ঝিনুক পিঠা, তালের পিঠা, মুগপাকন, সবজি পাকুরা, ডিম পিঠা। এরমধ্যে শুধুমাত্র ঝিনুক পিঠার দাম ১০ টাকা। আর বাকি ১২ রকমের পিটা ২০ টাকায় বিক্রি হয়।
পিঠা কিনতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা মাসুম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এখানকার পিঠাগুলো খুবই সুস্বাদু। দোকানের পরিবেশও ভালো। পিঠা ঢেকে রাখা হয়। আমাদের বাসার পাশে এমন দোকান থাকায় বিভিন্ন পিঠার স্বাদ নিতে পারি। আমি প্রায়ই এখানকার পিঠা খাই।
সাগর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আগের মতো বাসায় পিঠা বানায় না। তাই শীতকালীন পিঠার স্বাদ নিতে প্রায়ই এখানে এসে পিঠা খাই। অনেক পদের পিঠা আছে, আর স্বাদও ভালো।
৩০ মিনিট ধরে পিঠার জন্য অপেক্ষায় থাকা আব্দুর রহমান বলেন, আগে মা-খালাদের পিঠা আমাদের জন্য বানাতে দেখতাম। কিন্তু এখন আধুনিকতার জন্য তা আর পাই না। তাই মাঝে মধ্যে এখানে পিঠার জন্য আসি। তবে সিরিয়ালে অপেক্ষা করা লাগে, কারণ দূরদূরান্তও থেকেও মানুষ আসে পিঠা খেতে।
জামাই-শ্বশুর পিঠা ঘরের মালিক মনসুর জানান, তার বর্তমানে ৩টি পিঠার দোকান রয়েছে। বছরের ৯ মাস পিঠা ব্যবসা আর তিন মাস অন্যান্য ব্যবসা করেন তিনি। তার দোকানগুলোতে ১৫-১৬ জন কর্মী আছেন। হীরাঝিলের দুটি দোকান নিজেই পরিচালনা করেন। সারুলিয়ার অপরটি কর্মচারীরা দেখভাল করেন।
পিঠার দোকানে প্রতিদিন অন্তত ১৮-২০ হাজার টাকা বিক্রি হয় বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
মো. আকাশ/জেডএইচ/জিকেএস