কনে দেখা হলো না, পথেই ঝরলো একই পরিবারের ৫ জনের প্রাণ
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত সবাই একই পরিবারের সদস্য। তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে ফদিরপুরে কনে দেখতে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় আহত আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন, লিটন চৌধুরী, শারমিন মনু, সাজু, আতিফা ও রিন্টু। তারা নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়া বাড়ি এলাকায় বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাসরি নামের এক তরুণী জানান, পাত্রী দেখতে ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়ায় যাচ্ছিলাম। পথে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তবে কার বিয়ের জন্য কনে দেখতে যাচ্ছিলেন সেটি জানা যায়নি। মাইক্রোবাস চালকসহ আটজন ছিলাম গাড়িতে। এখন কার কী অবস্থা জানি না।
তাসরি ছাড়াও অরিন ও চালক নাজমুল হাসান ও জিন্না (৫২) নামে স্থানীয় একজন দোকানদার আহত হন।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাকি বিল্লাহ বলেন, পাঁচজন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে এটা কোতোয়ালী থানার আওতায় থাকায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক(ডিসি) কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকামুখী মধুমতি এক্সপ্রেসের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস পাশের খাদে পাড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এএসএম