দুই কৃষক হত্যা

জামিনে বের হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি আসামির

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে মো. আব্দুল সাত্তার ও তোবজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কারাগারে যান দুরুল আলি শফিকুল ইসলামসহ ৭ আসামি। পরে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে বাদী ও নিহতের স্বজনদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ টাউনক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহত মো. আব্দুস সাত্তারের মেয়ে রাশিদা খাতুন।

রাশিদা খাতুন বলেন, গত বছরের ২০ নভেম্বর গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বেগমপুরে জমিতে কৃষি কাজ করছিলেন আমার বাবা মো.আব্দুল সাত্তার ও আত্মীয় মো. তোবজুল ইসলাম। এসময় আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে যায় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে বাধা দিতে গেলে শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বাবা ও তোবজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।

পরে ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরমধ্যে ৫ জন আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকি মামলা প্রত্যাহার না করলে নিহত দুই ব্যক্তির মতো আমাদেরও পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গোমস্তাপুর থানায় গত ৪ জানুয়ারি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোনো সময় আমাদের ওপর হামলা হতে পারে।

তিনি বলেন, এখনো হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে কঠোর বিচার দাবি করছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম বলেন, এই হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে ৭ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন ২৩ জন। বাদীকে হুমকি বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সোহান মাহমুদ/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।