এবার দর্শনায় যাত্রা বিরতির দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যাত্রা বিরতির দাবিতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস আটকে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৪৫ থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।
এ সময় ওই রুটে অন্য কোনো যাত্রী বা মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করতে পারেনি। অবশেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল ও চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর হোসেনের সমঝোতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাসহ ও স্থানীয় জনতা অবরোধ তুলে নিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে দেন।
দর্শনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানভির আহম্মেদ অনিক জানান, দর্শনা একটি শিল্প ও সীমান্ত শহর। যেখানে একটি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও রেলবন্দর রয়েছে। বাংলাদেশের সব জেলার মানুষ এখানে চাকরির সুবাদে বসবাস করে থাকেন। কিন্ত দর্শনা হল্ট স্টেশনে রাতে খুলনা-ঢাকাগামী সুন্দরবন ও ঢাকা- খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টোপেজ না থাকার কারণে আমরা দর্শনাবাসীর সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে রেলওয়ের পশ্চিম জোনের পাকসি বিভাগের ডিভিশনাল ট্রাফিক অফিসার (ডিটিও) মোছা. হাছিনা বেগম জানান, আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে ২৫-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে স্টপেজ দেওয়ার নিয়ম নেই। দর্শনার ঘটনাটি আমরা শুনেছি। রাজশাহী ও ঢাকার ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/জিকেএস