জোড়া খুন

সিরাজগঞ্জে চারজনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জোড়া খুনের মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আটজনকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল জানান, এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ৩৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের দেল মাহমুদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু, আক্তার হোসেনের ছেলে হাসানুর রহমান হাসু, আফাজ আলীর ছেলে
কাওসার আলী ও নাজেম উদ্দিন জাহিদুল ইসলাম জালিম।

অপরদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের বাদশা প্রামাণিকের ছেলে মোতালেব ও আশরাফ আলী, আবুল প্রামাণিকের ছেলে রেজাউল, ওসমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও মনিরুল ইসলাম, আজু প্রামাণিকের ছেলে বেল্লাল হোসেন, ইয়াসিন আলীর ছেলে দুলাল হোসেন ও আয়নাল হকের ছেলে আব্দুল আওয়াল।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে সাইফুল ইসলাম, তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসে ছিলেন। এ সময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। একই সঙ্গে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এরপর মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন (৪০) ও সাইফুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি উল্লাপাড়া মডেল থানায় চকপাঙ্গাসী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ এ মামলায় রায় ঘোষণা করলেন।

এম এ মালেক/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।