খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি, চালে অস্বস্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খুলনা
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫

শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে খুলনার বাজার। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। তবে ডিম, মাছ ও মাংসের দাম আগের মতো থাকলেও বেড়েছে চালের দাম।

রোববার (৫ জানুয়ারি) খুলনার নতুন বাজার, গল্লামারি বাজার, নিউ মার্কেট বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজার, রুপসা সান্ধ্য বাজার ও দৌলতপুর বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি, চালে অস্বস্তি

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, মুলার কেজি ২০, পেঁপে ২০, বেগুন আকার ভেদে ৪০-৫০, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০, টমেটো ৪০-৫০, গাঁজর ৬০ ও শিম প্রকারভেদে ৩০-৪০ টাকা। লালশাক, পালং ও কলমি শাক ২০-৩০ টাকায় কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, দেশি রসুন ২২০ টাকা ও ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, প্রকারভেদে আদা পাওয়া যাচ্ছে ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে।

মুদি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বোতলজাত ৫ লিটারের সয়াবিন ৮৫০ এবং এক লিটার ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, খোলা পামওয়েল প্রতি লিটার ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম এক হালি ৪৮ টাকা ও চিনি ১৪০ টাকা কেজি।

খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি, চালে অস্বস্তি

মাংসের বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে তেলাপিয়া ১৩০ টাকা কেজি, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা, মাঝারি রুই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, পাঙাশ ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮২-৮৬ টাকা, স্বর্ণা চালের দাম বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, পুরাতন আটাশ ৬২-৬৫ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাও চাল ১৫০ টাকা ও খোলা চাল ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গল্লামারি বাজারের সবজি বিক্রেতা আকবর আলী জানান, বাজারে প্রতিদিন ট্রাকবোঝাই সবজি আসছে। তাই এতো দাম কম। মানুষজন খুব খুশি এতো কম দামে সবজি পেয়ে। টমেটোর দাম একটু বেশি, তবে দাম কমে যাবে।

খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি, চালে অস্বস্তি

ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের মাছ বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, মাছের দাম যা তাই আছে। ১০-২০ টাকা আপ-ডাউন করে পরিবহনের জন্য। এছাড়া সব মাছের দাম কমই আছে।

রুপসা বাজারে আসা ক্রেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, সবজির বাজার এখন ঠান্ডা আছে। কখন যে গরম হয়ে যায়, সেই আতঙ্কে আছি। চালের দাম বাদে শাক-সবজির দাম কমেছে।

চাল ব্যবসায়ী সাকিবুল ইসলাম জানান, খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধিতে কিছুই করতে পারে না। একজন দাম বাড়ালে তার খদ্দের কমে যাবে। চালের দাম বাড়ে মিল মালিকদের জন্য। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

মো.আরিফুর রহমান/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।