আওয়ামী লীগ কর্মীকে মারধর করে চার গরু ছিনিয়ে নিলেন বিএনপি নেতারা
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে শামসুল হক (৬৫) নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে মারধর করে তার চারটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের দাউদাই গ্রামের বাড়ি থেকে গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে।
অভিযুক্তরা হলেন টাংগাব ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন, মোখলেস মিয়া, যুবদল নেতা ইমরান হোসেন ও কাশেম মিয়া। তাদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন নেতাকর্মী গরু নিয়ে যান।
গরুগুলোর মালিক আওয়ামী লীগ কর্মী শামসুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। এটাই আমার অপরাধ। পুলিশে ধরিয়ে দেবে হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর করে বাড়িতে থাকা চারটি গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বাধা দিলে আমাকে মারধর করা হয়। আকুতি-মিনতি করেও গরু রাখতে পারিনি। তারা ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে চারটি গরু নিয়ে চলে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও গ্রামের কারও কখনো ক্ষতি করিনি। ঘটনাটি জানাজানি হলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জানতে পারে থানা পুলিশও। পরে রাতে পুলিশ গরুগুলো উদ্ধার করে আমাকে দিয়ে গেছে।’
বক্তব্য জানতে টাংগাব ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন ও মোখলেস মিয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি। পরে খুদেবার্তা পাঠালেও তারা উত্তর দেননি।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে আসার পর গরুগুলো উদ্ধার করে শামসুল হকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের সরাসরি বলেছেন, দলের কোনো নেতাকর্মী যদি চাঁদাবাজি কিংবা অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। যারা গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/জেআইএম