কিশোরগঞ্জে তিনদিন দেখা নেই সূর্যের
শীত ও কনকনে বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জের মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীতে কষ্টে পড়েছে মানুষ। গত তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। এদিকে শীত বাড়তেই জেলাজুড়ে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে নিকলী আবহাওয়া অফিস। এছাড়া ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডার পরিমাণ রয়েছে অতিমাত্রায়। শীত উপেক্ষা করে অনেকেই পেটের দায়ে বাধ্য হচ্ছেন কাজে যেতে। বোরো ধান রোপণের কারণে বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা।
করিমগঞ্জ উপজেলা সুতারপাড়া এলাকার কৃষক মাজু মিয়া বলেন, আমাদের এখানে পুরোদমে বোরো আবাদ চলছে। বোরো ধান রোপণে কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া শীত বেড়ে যাওয়ার কাজের লোকের মূল্যও বেড়ে গেছে।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আখতার ফারুক জানান, বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, শীত বাড়তেই জেলাজুড়ে হাসপাতালগুলোয় ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫০ জন ঠান্ডাজনিত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এসকে রাসেল/জেডএইচ/এমএস