দরপত্র ছাড়াই সংস্কার কাজ, রাসিকে দুদকের অভিযান
দরপত্র ছাড়াই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নগর ভবন সংস্কার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুদকের সমন্বিত রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান চালায়।
অভিযানে তিনটি ফাইল জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুদক সমন্বিত রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দীক, উপ-সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দুদক সমন্বিত রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, দরপত্র ও কোটেশন ছাড়াই সংস্কার কাজ হওয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিনটি ফাইল জব্দ করা হয়েছে। এর বাইরেও আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যেখানে ঠিকাদার ছাড়াই কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বেশকিছু অনিয়মের তথ্যও পেয়েছি। আমরা যে ফাইলগুলো পেয়েছি, সেগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করে এর ফাইন্ডিংস প্রতিবেদন আকারে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পাঠাবো। প্রতিবেদনের আলোকে দুদক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে নগর ভবন ও এর বাইরের সিটি করপোরেশনের স্থাপনাগুলোতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান। ওই প্রকল্পের ভেতর উপপ্রকল্প করে নগর ভবন সংস্কারকাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে জানিয়ে দিয়েছে, সংস্কার করতে হবে নিজস্ব অর্থেই। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর সম্প্রতি নগর ভবনের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, এ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ও হয়েছে।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘রিকুয়েস্ট ফর কোটেশন মেথডে’ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কাজ বিনা টেন্ডারে করা যায়। এছাড়া দরপত্র ছাড়া কাজ করার আরও অনেক পদ্ধতি আছে।
জানতে চাইলে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন বলেন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০০৮ সালের পিপিআর মেনেই হচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জিকেএস