ঢাকা থেকে নিখোঁজ, লক্ষ্মীপুরের আ’লীগ নেতার মরদেহ মিললো ময়মনসিংহে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর ও ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আরিফুর রহমানের (৪৮) মরদেহ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে। ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর থেকে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে কে বা কারা আরিফকে তুলে নিয়ে যায় বলে পরিবারের অভিযোগ।

বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসূতা চৌরাস্তা সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি আরিফুর রহমানের বলে জানিয়েছেন তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

আরিফের ভগ্নিপতি সেলিম হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, আরিফ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এলাকায় রড-সিমেন্ট ও ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পরিবার নিয়ে বের হন। রাতে স্ত্রীকে মিরপুর-১ নম্বরে নামিয়ে দিয়ে তিনি ১০ নম্বরে যান। সেখানে পরিচিত এক দোকানে বসেন। এরপর রাতে তার মোবাইল নম্বর থেকে স্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা বিকাশ চেয়ে এসএমএস আসে। এরপর স্ত্রী আরিফকে কল দিলেও সাড়া মেলেনি। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে মিরপুর থানায় নিখোঁজের খবর জানাতে গেলে ময়মনসিংহে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের খবর পান। পরে ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন।

আরিফের ভাই ফরহাদ হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখমণ্ডলে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন ছিল। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান বলেন, সকালে সড়কের পাশের ক্ষেতে মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি বলেন, নিহতের বাম চোখের ওপর ও নাকে চামড়া ছিলে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও হত্যার পর ভোরে তাকে এখানে ফেলে পালিয়েছে হত্যাকারীরা।

কাজল কায়েস/কামরুজ্জামান মিন্টু/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।