গ্রামের মানুষকে কাঠের সেতু উপহার দিলেন প্রবাসীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৫
প্রবাসীদের টাকায় গ্রামে কাঠের সেতু

মাদারীপুরের শিবচর নিলখী ইউনিয়নের সরদার মাহামুদেরচর মরা আড়িয়াল খাঁ খেয়াঘাট দিয়ে নৌকাযোগে পারাপার হতে হতো ১০ গ্রামের মানুষের। খেয়া পারাপারে পোহাতে হতো অনেক ভোগান্তি। অবশেষে সেই ভোগান্তির অবসান হলো প্রবাসীদের উদ্যোগে।

উপজেলার নিলখীর মরা আড়িয়াল খাঁ নদে প্রবাসীদের অর্থায়ন ও স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে কাঠের সেতু। সেতুটি পেয়ে খুশি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

গ্রামের মানুষকে কাঠের সেতু উপহার দিলেন প্রবাসীরা

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগস্থল শিবচরের সরদার মাহমুদেরচর খেয়াঘাট। ঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে খেয়া পারাপার হয়ে আশপাশের গ্রাম ও হাট-বাজারে যেতে হতো দুই পাড়ের মানুষদের। শহরে যাওয়ারও মাধ্যম এই খেয়াঘাট। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হতো অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময়। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসীরা। নির্মাণ করে দিয়েছেন কাঠের সেতু।

সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রবাসী সেতু’। এর দৈর্ঘ্য ৬০০ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৩ ফুট। কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সেতুটি তৈরি করতে দুই মাস সময় লেগেছে। ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা।

সেতুটি দেখতে আসা এলাকার বাসিন্দা জয়নাল হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ি নিলখীতে। মাঝে মাঝেই এই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হতে হয়। পারাপারের সময় অনেক কষ্ট হয়। এখন এই সেতু হওয়াতে আমরা খুশি।’

গ্রামের মানুষকে কাঠের সেতু উপহার দিলেন প্রবাসীরা

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আব্দুর রব বলেন, এমন মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা খুব খুশি। সেতুটি অনেক আগেই দরকার ছিল। দেরিতে হলেও নতুন বছরে সেতুটি গ্রামবাসীকে উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।

শিবচরের নিলখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল রহিম লপ্তি বলেন, এলাকার যুবসমাজের উদ্যোগ ও প্রবাসীদের অর্থায়নে বিশাল এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। সেতুটি নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।