ক্ষুধার্ত পেটে প্রতিদিন চার কিলোমিটার হেঁটেছে ফারুক


প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ১৫ মে ২০১৬

স্কুলের বেতন দেয়ার সামর্থ ছিলনা তার। ছিল না স্কুলে পড়ে যাওয়ার মতো ভালো কোনো পোশাক। সংসারের অভাবের কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় অনাহার অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে তাকে। পেটে ক্ষুধা নিয়ে প্রতিদিন চার কিলোমিটার (যাওয়া-আসা) কাঁচারাস্তা পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে কোচিং করতে। কোচিং শেষে ফরম পূরণের জন্য এলাকায় চাঁদা তুলতে হয়েছে তাকে।

এত কষ্ট যে করতে পারে সে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকতে পারেনা। তাইতো সব অন্ধাকারকে পেছনে ফেলে আলোর ঝলকানি দিয়ে বেড়িয়ে এসেছে ফারুক হোসেন।

সে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের জোড় সয়রাহাট এলাকার মমিন গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর শহিদুল ইসলামের ছেলে। ফারুক এসএসসি পরীক্ষায় নাজিমখান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ফারুকের ছোট বোন সুরাইয়া অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। চারজনের সংসারে যেখানে তিনবেলা খাবার জোটাই কষ্টকর, সেখানে লেখাপড়ার খরচ আসবে কীভাবে?

ছেলের স্বপ্ন সে ম্যাজিস্ট্রেট হবে। তাই মা ফাতিমা হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নাজমুল/এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।