রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে যা পেলো দুদক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৫

নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার দাসের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় নিম্নমানের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি চার্ট অনুযায়ী কম খাবার সরবরাহ করা, রোগীদের সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ না করা এবং হাসপাতালের ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সত্যতা পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনকে অবগত করবেন বলে জানান ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার দাস।

তিনি জানান, আজকের খাবারের চার্ট অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর যে পরিমাণ খাবার পাওয়ার কথা, সে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। মোট ১৬ কেজি মাংস দেওয়ার কথা থাকলেও রান্নাঘরে পাওয়া গেছে ১০ কেজি। তাছাড়া পরিবেশ খুব নোংরা এবং রোগীদের সব ধরনের ওষুধও দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের সেবিকারা স্লিপ নিয়ে ওষুধ দিচ্ছেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে যা পেলো দুদক

এদিকে খাবার না পাওয়াসহ রোগ অনুযায়ী সব ধরনের ওষুধ না পাওয়া, ওয়ার্ডে নোংরা পরিবেশ এবং রোগী ও তার স্বজনদের সঙ্গে সেবিকাদের অশোভন আচরণের অভিযোগ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

তারা জানান, খাবার ঠিকমতো পান না। একদিন দিলে পরদিন আর খাবার দেয় না। সিস্টারদের কাছে কিছু জানতে বা জিজ্ঞাসা করলে খারাপ আচরণ করে। সময়মতো তাদের ডেকে পাওয়া যায় না। তাছাড়া গ্যাস্ট্রিক ও জ্বরের ওষুধ ছাড়া সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে যা পেলো দুদক

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, বাস্তবে আজ খাবার কম ছিলে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়তি লোক নিয়ে হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেন। অধিক রোগীদের চাপের কারণে নোংরা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সব ওষুধ আউটডোরে দেওয়া থাকে না, কিছু ওষুধ ইনডোরেও থাকে। যে কারণে আউটডোরে সব ওষুধ পাওয়া যায় না।

রুবেলুর রহমান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।