২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর রুম খালি নেই বান্দরবানের হোটেল রিসোর্টে
২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর রুম খালি নেই বান্দরবানের অধিকাংশ হোটেল রিসোর্টে। বান্দরবান ভ্রমণ প্রত্যাশীরা এসব রুম আগাম বুকিং নিয়েছেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, বছরজুড়ে কম বেশি পর্যটকের পদচারণা থাকলেও বিশেষ ছুটির দিনে বাড়ে কয়েকগুণ। এবারও বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে প্রকৃতির সান্নিধ্যে একান্তে সময় কাটাতে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি অপরূপা এই বান্দরবানের পাহাড়-নদী ও মেঘের লুকোচুরির সৌন্দর্য উপভোগ করতেও ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। যার ফলে বান্দরবান সদরের হোটেলগুলোতে ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর সব রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
দীর্ঘ সময় পর পর্যটকের ভালো সাড়া পেয়ে আনন্দিত ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পূর্বের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
হোটেল হিলভিউ’র ম্যানেজার মো. পারভেজ জানান, তাদের হোটেলে ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল হিল্টনের ম্যানেজার আক্কাস উদ্দীন সিদ্দিকী জানান, ২৫, ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর তাদের হোটেলের সকল কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালির ম্যানেজার মো. সুমন জানান, ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর শতভাগ, ২৭ ডিসেম্বর ৯৮ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। বাকি একদিনে অন্য সব কক্ষগুলোও বুকিং হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
বান্দরবান পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, সর্বোচ্চ ষাটজন ধারণক্ষমতার এই মোটেলটিতে ২৫টি রুম, রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স কক্ষ রয়েছে। বর্তমানে শতভাগ বুকিং আছে। বান্দরবানে আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জানান, ১৪ ডিসেম্বর থেকে বান্দরবানে পর্যটকের সমাগম বাড়ছে, প্রত্যেক হোটেলে ৮০ থেকে শতভাগ রুম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন এই ধারাবাহিকতা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়াতে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যটক আসা অব্যাহত থাকবে। রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচির দেবতাকুম, বগালেক, কেউক্রাডং, রাজাপাথর, রেমাক্রিফলসে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বকতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যটক আগমনের মৌসুম চলছে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খবর নিয়ে জেনেছেন প্রায় আবাসিক হোটেলে শতভাগ বুকিং আছে। মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, প্রান্তিক লেক প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে আনন্দে পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে।
নয়ন চক্রবর্তী/এফএ/এমএস