সুশীলদের ডা. শফিকুর রহমান
মায়ের দরদ নাই, আপনি মাসি এত চিৎকার করেন কেন?
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়া না নেওয়া নিয়ে কিছু সুশীল ব্যক্তির দেওয়া বক্তব্যের আলোচনা করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কিছু সুশীল এখন বলে আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে আসতে পারবে? আওয়ামী লীগ কি কখনো নির্বাচন চেয়েছে? আওয়ামী লীগ নির্বাচন চাইলে গত তিন তিনটি নির্বাচনে তাদের সুযোগ ছিল জনগণকে সুযোগ দেওয়ার, তারা তো দেয়নি। যারা নিজেরাই নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, আপনারা কারা? মায়ের দরদ নাই, আপনি মাসি এত চিৎকার করেন কেন?
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সবগুলাকে খেয়ে চিবিয়ে হজম করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছিল তারা। আমাদের প্রতীক কেড়ে নিয়েছিল, দলকে নিবন্ধনহীন করেছিল, আমাদের নিষিদ্ধ করেছিল, এখন জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করেছে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘৭২ সালের শেখ মুজিব ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন। সেদিন থেকে শুরু করে ২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তার দল দেশ শাসন করেছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। ৫৩ বছরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ওপর নির্যাতন কারা করেছে, তাদের সম্পদ কারা দখল করেছে, তাদের ইজ্জতের ওপর কারা হাত দিয়েছে; সেই গোষ্ঠীটাকে বের করে আনা হোক। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এখন মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়ার সুযোগ এসেছে।’
সংখ্যালঘু ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিসের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু। এসব কথা বলে মানসিক শক্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা ঘুরে দাঁড়ান। সাদাকে সাদা বলুন, কালাকে কালা বলুন, যাতে সম্মানের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘কেন তারা দাঁড়িপাল্লার বিরুদ্ধে লাগলো? এই প্রতীক যদি সংসদে যায়, এই প্রতীক হাতে নিয়ে যদি মানুষ দেশ শাসন করে, তাহলে এই দেশে আইনের শাসন কায়েম হবে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে, ইনসাফ কায়েম হবে। এজন্য তারা এই প্রতীক সহ্য করতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ আমরা আবার প্রতীক ফিরে পাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে শুধু দেশত্যাগের জন্য যুদ্ধ করি নাই, লড়াই করি নাই। সারা দুনিয়ায় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা আছেন তারাও লড়াই করেছেন। সুতরাং দেশে-বিদেশে যারা বাংলাদেশি আছেন, তাদের সবাইকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। আমরা বলেছি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তরুণ-তরুণীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
জিতু কবীর/এসআর/এএসএম