জলসায় অতিথি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ১৩

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

স্থানীয় ইসলামী জলসায় অতিথি নিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় একটি ইসলামী জলসায় প্রধান অতিথি করা হয় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে। ২৯ ডিসেম্বর ওই সভার তারিখ ঘোষণা করে পোস্টার লাগানো হয়। পোস্টারে বিএনপি ও জামায়তের স্থানীয় নেতাদের নামও অতিথি হিসেবে রাখা হয়। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নাম থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের প্রেক্ষিতে ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি ইসলামী জলসার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আব্দুল আজিজসহ তার লোকজন। সেখানেও প্রধান অতিথি করা হয় গাইবান্ধা জেলার বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে। এ জলসার জন্য করা পোস্টারে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম না থাকায় গত শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতান্ডা ও উত্তেজনা দেখা দেয়। তারই জের ধরে শনিবার দুপুরের দিকে সাঘাটা বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও কথা উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ধাওয়াা-পাল্টাধাওয়া ও সংষর্ঘ হয়। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম, ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান, বাবু মিয়াসহ বিএনপির অন্তত ছয়জন ও জামায়াতের সাতজন আহত হয়।

জামায়াতের আহত কর্মিদের মধ্যে আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ চারজনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাইবান্ধা, বিএনপি, জামায়াত, সংঘর্ষজলসায় অতিথি নিয়ে বিএনপি -জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ১৩

বিএনপি কর্মিদের মধ্যে জাকিরুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাজার অবস্থান করেছিলাম। হঠাৎ তারা লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়।

তবে সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম হোসাইন ও সেক্রেটারি আব্দুল গফুরের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, দুইপক্ষেরই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাদের শান্ত করেছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

এ এইচ শামীম/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।