রাসিক কর্মকর্তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, যুবক গ্রেফতার
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, চাঁদার টাকা না দিলে তার বাড়িঘর ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল ইসলাম টুটুল নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।
গ্রেফতার শহিদুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহী নগরের ছোটবনগ্রাম হাউজিং কোয়ার্টারে। এর আগে মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন রাসিকের সিইও ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ওই ব্যক্তি তাকে ফোন করে একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী পরিচয় দেন। এরপর তিনি পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ফোন করা ব্যক্তি ড. শরীফ উদ্দিনকে বলেন, রাতেই টাকা দিতে হবে। কোনোরকম চালাকি করলে বাড়ি-গাড়ি সব জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ড. শরীফ উদ্দিনের অবস্থান এবং চলাফেরা সব সময় নজরদারি করা হচ্ছে।
এত টাকা কারও কাছে নগদ থাকে না জানালে ফোন করা ওই ব্যক্তি বলেন, কিছু কম দিলেও হবে। টাকা যেন বাড়ির দারোয়ানের কাছে রাখা হয়। রাতে তার লোক গিয়ে নগদ টাকা নিয়ে আসবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাসিকের সিইও শরীফ উদ্দিনকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, চন্দ্রিমা থানায় মামলার পরই তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে শহিদুল ইসলামকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। শহিদুল পেশায় একজন গাড়িচালক। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না তা ডিবি পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবারই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি) মীর মো. শাফিন মাহমুদকে ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, মামলার পরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে শহিদুলের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এমএস