মাদারীপুর

মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ভূমি অফিসের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর জেলা মহিলা লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলার সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে। মার্কেটের অন্তত ১৬ দোকান থেকে জামানতের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন তিনি।

স্থানীয়, ভুক্তভোগী দোকানদার ও ভূমি অফিস সূত্র জানায়, সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজার সংলগ্ন ভূমি অফিসের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নার্গিস আক্তার। সেখানে ১৬টি দোকান নির্মাণ করা হয়। এসব দোকানে ৩-৫ লাখ করে জামানত নিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ২-৩ হাজার টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন। তিনি ২০১৯ সালে মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের ছত্রছায়ায় সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সে ক্ষমতায় তিনি দোকানগুলো নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।

একাধিক দোকানদার বলেন, আমরা ব্যবসা করি টাকা দিয়ে। এ দোকান নারগিস আক্তার নিজের কথা বলে টাকা নিয়েছেন। এখন আমরা শুনি এটা সরকারি জায়গা। সরকার যদি এটা উচ্ছেদ করে তা হলে আমাদের জামানত টাকা যেন ফেরত পাই। সরকার যেন সে ব্যবস্থা করে দেন।

মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অভিযুক্ত নারগিস আক্তার পলাতক। তার ভাই বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগে আমি দোকান থেকে ভাড়া উঠতাম। তবে সরকার পতনের পর অনেকে ভাড়া দিচ্ছেন না। এটা সরকারি জমি কিনা সেটা জানি না।

এ বিষয়ে মস্তফাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আলেয়া বেগম বলেন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান যে দোকানগুলো দখল করে নিয়েছেন সেটা আমাদের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জমি। এ বিষয়ে তার কাছে আমরা কাগজ-পত্র চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সঠিক কাগজ-পত্র দেখাতে পারেননি।

মাদারীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।