ঠিকাদারকে চড় মারলেন এসিল্যান্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
অভিযুক্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্তের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের জামিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাঝবাড়ি-রাধাগঞ্জ সড়কের জামিলা এলাকায় একটি সেতুর নির্মাণের কাজ চলছে। ওই কাজের ঠিকাদার আব্দুস সামাদ। খাল থেকে মাটি তোলা নিয়ে তার সঙ্গে এসিল্যান্ড প্রতীক দত্তের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবার বয়সী ওই ঠিকাদারকে চড় মারেন এসিল্যান্ড।

এসময় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আজম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনজুরুল হক ও নির্মাণ শ্রমিকসহ অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হলে প্রতীক দত্ত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

আবুল বাশার নামের একজন শ্রমিক বলেন, ‘সেতু নির্মাণের সময় রাস্তার মাটি কেটে আমরা খালের কিনারায় রাখি। কাজ শেষ হওয়ায় সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের জন্য সেই মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে খাল থেকে উত্তোলন করা হচ্ছিল। এসময় এসিল্যান্ড স্যার আসেন। তিনি ঠিকাদার সামাদকে খাল থেকে মাটি উত্তোলন নিয়ে বকাঝকা করে কাজের সাইট থেকে চলে যেতে বলেন। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটির সময় এসিল্যান্ড স্যার উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারের গালে চড় মারেন। ঠিকাদার পড়ে যান। এতে তার পায়ের আঙুল কেটে যায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

জামিলা গ্রামের বাসিন্দা হান্নান শেখ বলেন, ‘এসিল্যান্ড যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা আসলেই ন্যাক্কারজনক। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।’

ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘এসিল্যান্ড আমার সঙ্গে যা করেছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ওপর মহল থেকে আমার শ্বশুর ইউনুস শরিফ মীমাংসার দিকে গেছেন। আমাকে কিছু বলতে বলিয়েন না। ওপর মহল থেকে ঝামেলায় আছি।’

ইউনুস শরিফ বলেন, ‘আমার জামাইকে চড় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ড মঙ্গলবার রাতে আমার কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত বলেন, ‘আমার সঙ্গে ঠিকাদার আব্দুস সামাদের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। চড় মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তা মীমাংসা হয়ে গেছে।’

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি জানা নেই। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আশিক জামান অভি/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।