ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক কমিটির নেতাদের ওপর হামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আতাউল্লাহসহ তিনজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল আদালত চত্বরে আসে।
এ ঘটনায় একই সংগঠনের জেলা সংগঠক জিহান মাহমুদ (৩০) ও উপজেলা সংগঠক রাসেল মিয়া (৩০) আহত হন।
আহত আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এক সহযোদ্ধাকে একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেজন্য আমি আদালতে এসেছিলাম। সেখানে এক সহকর্মী বলেন, তার এক আত্মীয়ের একটি সালিশি সভা হচ্ছে, সেখানে যেতে। আমি তার সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে যাই। সেখানে যাওয়ার পর তিনি আমাদের সঙ্গে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছিলেন। একপর্যায়ে একজন আমাকে নাগরিক কমিটির নেতা হিসেবে পরিচয় করি দেন। নাগরিক কমিটির কথা বলার পর আমাকে মারধর শুরু করেন। সেখানে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল সামনে ছিলেন। তার ইশারাতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, “একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক বের হয়ে কক্ষের লাইট বন্ধ করে দিলে সবাই বেদম প্রহার করে। এ অবস্থায় আমি পুলিশ সুপারকে কল দেই। তখনও তারা আমাদের মারধর করছিল। তারা মারার সময় বলছিল, নাগরিক কমিটি কেন এখানে এসেছিস? তারা নাগরিক কমিটির ওপর খুব ক্ষ্যাপা।”
আহত জিহান মাহমুদ বলেন, ‘আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। আমরা উনার কক্ষে প্রবেশ করার পরই খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। তখন নাগরিক কমিটির নাম শুনে তারা আরও খারাপ ব্যবহার করেন। তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। সেখানে এ অবস্থায় রাসেল ফেসবুক লাইভ দেয়। লাইভ দেওয়ার পর আরও বেশি মারধর করা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, আদালতে রাবেয়া খাতুন ও হাবিবুল্লাহর একটি মামলা চলমান। রাবেয়া তার স্বামী হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক সংক্রান্ত মামলা করেছেন। বাদী রাবেয়া খাতুন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহর খালা হন। আজ দুই পক্ষের আইনজীবী নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়, কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না।
তিনি বলেন, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় আতাউল্লাহসহ তিনজন আহত হন। আমি এসে তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম