ধসে পড়ার ৮ মাসেও সংস্কার হয়নি সেতু, ভোগান্তিতে ৩ গ্ৰামের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সেতুটি ধসে পড়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি সেতু খালে ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনটি গ্রামের কয়েকশ পরিবারের লোকজন। সেতুটি ধসে পড়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের রামেরবাজার থেকে সাহেবেরহাট খালের ওপর ২০০০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় সেতুটি। ২০১৮ সালে সেতুর মাঝের অংশ দেবে যায়। চলতি বছরের ৩ মে রাতে ধসে পড়ে সেতুটি। এরপর থেকে লোকজনসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, বিকল্প কোনো যাতায়াতের পথ না থাকায় সেতুর পাশে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু-বৃদ্ধরা। সেতুর লোহার খুঁটি এবং ঢালাই স্লাব ধসে যাওয়ায় পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছেন।

পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুমালা ঘরামী, সুমন দাস ও লীলা বিশ্বাস বলেন, ‘সেতুর ওপর দিয়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু ধসে পড়ায় এখন আর কোনো যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে। আমরা অনেক কষ্টে আছি।’

ধান ব্যবসায়ী অজয় সমাদ্দার বলেন, এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়। চাষিরা ধান বিক্রি করতে চাইলেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে কোনো পরিবহনে নিতে পারেন না। এজন্য আমরা ধান কিনতে পারছি না।

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, সেতু ধসে পড়ার সংবাদ শুনে লোক পাঠিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা বরাদ্দ দিলেই সংস্কার করা হবে।

শাওন খান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।