নারায়ণগঞ্জ

চালকের সঙ্গে বিতণ্ডা, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বাস ভাঙচুরের অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চালকের সঙ্গে তর্কের জের ধরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের আসিয়ান পরিবহনের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে এ ঘটনা ঘটে।

বাসযাত্রীদের তথ্যমতে, বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন রাজধানীর গুলিস্তান হতে নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য আসিয়ান পরিবহনে উঠেন। চলার পথে গাড়ি ব্রেক করাকে কেন্দ্র করে চালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এ নেতা। পরে সাইনবোর্ড পার হয়ে সানারপাড় পৌঁছালে অন্তত ৩০ জন সহযোগী এসে চালককে মারধরের পর গাড়ি ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে মারধর শেষে বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের একটি ভিজিটিং কার্ড দেওয়া হয় চালককে।

চালকের সঙ্গে বিতণ্ডা, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বাস ভাঙচুরের অভিযোগ

বাসচালক নয়নের দাবি, ইকবাল হোসেনের সঙ্গে তর্ক করাকালীন সময়ে উঁচু গলায় কথা বলার অপরাধে তাকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। আমি গুলিস্তান থেকে গাড়ি চালিয়ে আসছিলাম। সায়েদাবাদে যানজট থাকায় গাড়ির সামনে একটি মোটরসাইকেল এসে থামায় আমি দ্রুত ব্রেক করি। সে সময় গাড়ির যাত্রীদের ঝাঁকুনি লাগে। তখন সেই নেতা বলে কিরে কেমনে গাড়ি চালাস? এনিয়ে তর্ক হলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

একই বাসের যাত্রী ছিলেন মিনহাজ আমান নামের এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ বাস ভাঙচুর না করতে বলায় তাকেও লাঞ্ছিত করে ইকবালের হোসেনের কর্মীরা। তখন তাকে চর থাপ্পড় মারা হয়েছে। অথচ তিনিও গাড়ি চালককে ধমক দিয়েছিলেন উচ্চ সুরে কথা বলার অপরাধে।

এ বিষয়ের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় আসিয়ান বাস মালিকদের একজন রেজা রিপনের সঙ্গে। কিন্তু তিনি মুঠোফোনের কল রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে বিএনপির নেতা ইকবাল বলেছেন, গাড়ির ড্রাইভার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেছে। উল্টাপাল্টা ভালোভাবে গাড়ি চালানোয় তাকে আস্তে চালাতে বলায় আমাকে বলে ’আপনে গাড়ি চালান’। এক কথায় ধমক দেয় আমাকে। পরে আমি তাকে বলেছিলাম সাইনবোর্ড রাখ তোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। তখন ওই চালক আমাকে বলে এমন ফাপর অনেকেই দেয়।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম বলেন, এমন ঘটনা আমরা জানি না। কেউ জানায়নি আমাদের।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমাদের কাছে কেউ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি আমরা দেখবো।

মো. আকাশ/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।