ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট
ঘন কুয়াশা ও উল্টোপথে যানবাহন চলাচলের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কের উপজেলার আমিরাবাদ থেকে দাউদকন্দি টোলপ্লাজা পর্যন্ত থেমে থেমে এ যানজট দেখা যায়।
চালক ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচলে ধীরগতি হয়। গৌরিপুরে কচুয়া সড়কের গাড়িগুলো মহাসড়কে উঠতে গিয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। অপরদিকে ধীরগতির ফলে দ্রুত মহাসড়ক পাড়ি দিতে অনেক যানবাহন উল্টোপথে চলাচল শুরু করে। এছাড়া প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে লোকাল বাস ও মাইক্রোবাসগুলো মহাসড়কে যাত্রী ওঠানামা এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো এলোমেলো চলার কারণে দূরপাল্লার যান চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে যানজট হচ্ছে।
যাত্রীবাহি বাস সিডিএম পরিবহনের চালক ইকবাল হোসন বলেন, ৯টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার স্বল্পপেন্নাই এলাকায় যানজটে পড়ি। দাউদকান্দির কয়েকটি স্থানে প্রায় যানজট লাগে। পুলিশ একটু সতর্ক হলে এটি নিরসন সম্ভব বলে জানান তিনি।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহ আলম বলেন, সায়েদাবাদ থেকে সকাল ৭টায় বাসে উঠেছি। ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৫০ মিনিটে অতিক্রম করার কথা ছিল। কিন্তু যানজটে আটকে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় অতিরিক্ত লেগেছে।
ট্রাকচালক টিপু মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম গতিতে বাস চালাতে হয়। এরমধ্যে সড়কে সিএনজি অটোরিকশা এলোমেলো চলাচলের কারণে গতি আরও কমাতে হয়। এদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা ও উল্টোপথে যানবাহন চলাচলের কারণে কয়েকটি স্থানে যানজট ছিল। হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কাজ করছে। এখন সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক বলতে পারেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এএইচ/এএসএম