বগুড়ায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে লেপ, তোশক ও জাজিমের কদর। ফলে এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সরেজমিনে বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারিগরদের ব্যস্ততা সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে। দোকানিরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারিগররা তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোশক-জাজিম।

বগুড়া রেলঘুমটি এলাকায় লেপ-তোশক তৈরির ১০ থেকে ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মযজ্ঞ চলছে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ বছর বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশক তৈরির উপকরণের খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বগুড়ায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি গজ লেপ তৈরির কাপড়ের দাম ৫৫-৬৫ টাকা, তোশকের প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৪৮-৫৫ টাকা এবং প্রতি গজ জাজিম তৈরির কাপড়ের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা করে।

এছাড়া প্রতি কেজি কার্পাস তুলার দাম ২২০-২৫০ টাকা, পোলি তুলার দাম ১৮০-২০০ টাকা, উলের দাম ১০০-১২০ টাকা ও প্রতি কেজি জুটের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা করে। বছরের তুলনায় প্রায় সব ধরনের তুলা কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এ বছর এক পিস রেডিমেট লেপ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে, তোশক বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ২৮০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া জাজিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকা থেকে ৪২০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বালিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।

রেলঘুমটি এলাকার লেপ-তোশকের দোকানের তবিবর বলেন, কয়দিন আগেও তেমন কাজ ছিল না। তবে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে কাজের চাপ বাড়ছে। এখন রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করেও মহাজনের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। এবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি।

কারিগর সাকিব বলেন, ১০ বছর থেকে এ কাজ করছি। প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের আগে ব্যস্ততা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেপ-তোশক তৈরির কাজ চলে।

বগুড়ায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা

কারিগর মুরাদ বলেন, একটি লেপ তৈরি করলে আকারভেদে ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং তোশক তৈরি করতে পারলে প্রতিজন ১৫০-৩০০ টাকা মজুরি পান।

ক্রেতা রানা বলেন, এবারে বেশি শীত হতে পারে। তাই আগে লেপ তৈরির জন্য দোকানে গিয়ে অর্ডার দিচ্ছি। এ জন্য পরিবারের সদস্যদের জন্য দুটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি। এতে মোট খরচ পড়েছে চার হাজার ২০০ টাকা।

আরেক ক্রেতা মিজানুর বলেন, দিনের বেলায় শীত অনুভূত না হলেও রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ে। কাঁথা দিয়ে শীত নিবারণ হয় না। এ কারণে অল্প টাকা দিয়ে লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।