যশোরে অবৈধভাবে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৭:৫৫ এএম, ১৩ মে ২০১৬

অনুমোদন ছাড়াই যশোর-খুলনা ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করছিল সামিট টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি। কিন্তু অনুমোদন না নেয়ার অভিযোগে যশোর জেলা পরিষদ ইতোমধ্যে তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

একই সঙ্গে আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় মামলার এজাহার জমা দিয়েছে। অবশ্য কোম্পানির সুপারভাইজার দাবি করেছেন, তারা অনুমোদন নিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু সরকারের দুটি দফতর জমির দাবিদার হওয়ায় তারা সংকটে পড়েছেন।

যশোর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আশরাফ হোসেন জানান, যশোর জেলা পরিষদের যশোর-খুলনা ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে সামিট টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করার জন্য নয়নঝুলি ডিডিআর মেশিন দ্বারা মাটি খনন করছিল। গোপনে এ খবর পেয়ে তারা গত ২৮ মার্চ যশোর সদরের রামনগর, চাউলিয়া, ঘোড়াগাছ, জিরাট, রূপদিয়া, পদ্মাবলাসহ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পান।

এ সময় জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু কর্মরতরা কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে জেলা পরিষদে এসে কোম্পানির সুপারভাইজার হাসান সিদ্দিকি ভুল স্বীকার করেন। এ সময় অনুমতি নেয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থ দেয়ার প্রয়োজন তা দিয়ে সমস্যা সমাধান করতে চান।

Jessore

জেলা পরিষদ সূত্র মতে, অনুমতি নিতে হলে জেলা পরিষদের ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৯ টাকা দিতে হবে। কোম্পানির পক্ষ থেকে তিনদিনের মধ্যে এই টাকা জমা দিয়ে অনুমতি নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও পরবর্তীতে তালবাহানা করা হয়। এ অবস্থায় কোম্পানিটি তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে।

এছাড়া ক্যান্টনমেন্ট ও খিতিবদিয়া এলাকায় ক্যাবল স্থাপন শেষ করে সড়কের পাশে ৮০০ মিটার পর পর বড় বড় আরসিসি ম্যানহোল (ডিবিবক্স) পাকাকরণের কাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দেয় জেলা পরিষদ। পরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বণিকের নির্দেশে সার্ভেয়ার আশরাফ হোসেন বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় কোম্পানির নামে মামলার এজাহার জমা দিয়েছেন। এতে কোম্পানির সুপারভাইজার ও দুইজন প্রকৌশলী এবং আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সামিট টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে অবৈধভাবে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ করতে থাকে। ওই ঘটনায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয়েছিল। যার নং পি-২৫০/১৫। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জেলা পরিষদের পক্ষে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

এদিকে, অবৈধভাবে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানির সুপারভাইজার হাসান সিদ্দিকী জানান, তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করার অনুমতি নেননি। তিনি বলেছেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুমতি নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই রাস্তার মালিক দুটি পক্ষ। একটি পক্ষ জেলা পরিষদ ও অন্যটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। দুটি প্রতিষ্ঠানই ডিমান্ড করছে। এতে তারা বিপাকে পড়েছেন।

মিলন রহমান/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।