ভোমরা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক
ভারতের সঙ্গে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন ভারত থেকে শত শত ট্রাকে পেঁয়াজ, আদা, চাল, ভূসি, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হচ্ছে এ বন্দর দিয়ে। একই সঙ্গে চালু রয়েছে দুই দেশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম।
ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতে ভোমরা স্থল বন্দরের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারতীয় মিডিয়ার গুজকে পুঁজি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ভোমরা বন্দরের আমদানিকারক কবিরুল ইসলাম মিন্টু জাগো নিউজকে জানান, ভারত থেকে ভোমরা স্থল বন্দর হয়ে পেঁয়াজ, আদাসহ সব পণ্য নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। এছাড়া রপ্তানি কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শুধুমাত্র বন্ধ রয়েছে আলু আমদানি।
আমদানিকারক দিপঙ্কর ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ভোমরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমাদানি রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে পণ্য আমাদানি অব্যহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ডলারের বিনিময়ে আমরা এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছি।
অপরদিকে ভোমরা বন্দরের ইমিগ্রেশন কতৃপর্ক্ষ জানায়, ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নতুন ভিসা বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র যে সব বাংলাদেশিদের ভিসা রয়েছে বর্তমানে তারা ভারতে যাতায়াত করছেন। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত বেশিরভাগ ভারতীয় নাগরিকরা ভারতে ফিরে যাচ্ছেন।
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী মহিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ভোমরা বন্দরের বিপরিতে ভারতের বসিরহাট জেলার ঘোজাডাঙা বন্দর মুসলিম অধ্যুশিত এলাকা হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশিদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্যার কিছু এলাকায় সমস্যা করার চেষ্টা করছে।
অপর এক যাত্রী শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমি গত সপ্তাহে কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। সেখানকার চিকিৎসকরা আমাকে ভালোভাবেই দেখেছেন। কলকাতায় হোটেল নিতেও সমস্যা হয়নি। এছাড়া ঘোজাডাঙ্গা বন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে কোথাও সমস্যা হয়নি।
এদিকে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, সাতক্ষীরার ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে বিজিবি। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির সদস্য সংখ্যা। গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এএইচ/জেআইএম