মাহমুদুর রহমান

ভারতের নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহমুদুর রহমান

ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে উল্লেখ করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন, তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার। বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে আছেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, এদেশের তৌহিদি জনতা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে ভারতীয় হেজিমনিকে উৎখাত করেছে। তারা আর কোনোদিন ভারতীয় হেজিমনি বা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে এদেশে প্রত্যাবর্তন করতে দেবেন না।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, কারণ হিন্দুত্ববাদী ভারত কোনো দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের হেজিমনিরও পরাজয় শুরু হয়েছে। আর এটা মেনে নিতে না পেরে ভারত ৫ আগস্টের পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে তারা সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছেন। অথচ এদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদে আছেন। এদেশের আলেম থেকে শুরু করে সংখ্যাগরিষ্ঠরা সবসময় তাদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন। উল্টো দিকে ভারতের সাধুরা মুসলিমদের হত্যার দাবি করে। এই হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য।

যুব ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাজিদুর রহমান। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামে যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতাউল্লাহ ইসলাম প্রমুখ।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।