প্রশ্নে শেখ মুজিবকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ লিখে তোপের মুখে শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী জিলা স্কুলের একটি পরীক্ষার প্রশ্নে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে তোপের মুখে পড়েছেন আবুল হোসেন গাজী নামের একজন শিক্ষক।

রোববার (১ ডিসেম্বর) পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ছাত্ররা হট্টগোল করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ উল্লেখ করায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে চেঁচামেচি শুরু করে। পরে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তোপের মুখে পড়েন শিক্ষকরা।

আসিফ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলে, “পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ হিসেবে উল্লেখ করায় পরীক্ষা শেষে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে আমরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাই।”

ওই শিক্ষার্থী আরও জানায়, ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক আবুল হোসেন গাজীকে ডেকে আনেন। পরে ভুলক্রমে ওই প্রশ্ন করেছেন বলে শিক্ষক স্বীকার করেন।

প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি পাঠ (লেসন) রয়েছে। সেখান থেকে প্রশ্ন করতে গিয়ে শিক্ষক আবুল হোসেন গাজী স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করেছেন। এজন্য বিষয়টি নিয়ে অনেকে তার কক্ষে এসে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষক তার ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ভুল না হয়, সে বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছে।’

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুলের প্রশ্নপত্রে শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করায় কিছুটা হট্টগোল হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।