খেলাপি ঋণ আদায়ে বাড়ির সামনে ব্যাংক কর্মীদের অবস্থান
খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়ায় কর্মরত অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঋণ আদায়ে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে তারা এক ঋণখেলাপির বাড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কেরামত হোসেন মোস্তান রোডের ঋণখেলাপি মোশারফ হোসেনের বাড়ির সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মোশারফ হোসেন বাড়ি বানানোর জন্য স্থানীয় অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ওই টাকায় বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি। গত প্রায় ৯ বছরে তিনি মাত্র দেড় লাখ টাকা ব্যাংকে ফেরত দিয়েছেন। সুদসহ বাকি টাকা আদায়ে বারবার তাকে নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি ঋণ পরিশোধ করেননি। শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা আদায়ে মোশারফের বাড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঋণ আদায়ে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কর্মসূচি চলাকালে অনেক মানুষ সেখানে ভিড় করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া বড় বাজার শাখার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্যে এই প্রথম খেলাপি ঋণ আদায়ে গ্রহীতার বাড়ির সামনে ব্যতিক্রমী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। ঋণ গ্রহণের পর বেশিরভাগ মানুষ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করেন।
অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপ মহাব্যবস্থাপক সাবিনা সুলতানা বলেন, বড় বড় ঋণগ্রহীতারা সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ, তাদের সামাজিক অবস্থান রয়েছে। এদের অনেকেই ঋণখেলাপি। শতচেষ্টা করেও তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করা যাচ্ছে না। সমাজের সামনে এদের মুখোশ উন্মোচন করে সামাজিক চাপ প্রয়োগের জন্যই তারা এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্য খেলাপি ঋণগ্রহীতার বাড়ির সামনেও এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
তবে ঋণখেলাপি মোশারফ হোসেন বাড়িতে না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আল-মামুন সাগর/এফএ/এমএমএআর/জেআইএম