স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ
রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক পিএম শফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় মো. সোদ নামে আরও একজনকে আটক করা হয়।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নগরীর সাধুর মোড় এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় চন্দ্রিমায় যাওয়ার পথে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের পথরোধ করেন।
আটক পিএম শফিকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ। সবশেষ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন তিনি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় শফিকুলের পথরোধ করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে বিএনপির লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রাজশাহী-৪ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন বলে জানান।
তবে পুলিশ ভ্যানের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় অধ্যাপক শফিকুল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সাত লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির লোকজন অধ্যাপক শফিকুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং সোদকে মারধর করে।
তাদের আটককারী নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক মো. সায়কত বলেন, অধ্যাপক শফিকুল গত ১৬ বছর ধরে তাদের দলের লোকদের হয়রানি করায় তারা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
শফিকুলের মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন সোদকে মারধর করে, কারণ সে উচ্চস্বরে কথা বলে এবং আমাদের দলের জুনিয়র কর্মীদের পেছনে ঠেলে দেয়।’
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লোকজনের কাছ থেকে অধ্যাপক শফিকুল ও সোদকে উদ্ধার করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়। অধ্যাপক শফিকুল ও সোদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো থানায় কোনো মামলা নেই। শফিকুলের বিরুদ্ধে তার নিজ গ্রামে বাগমারা থানায় কোনো মামলা আছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/এএসএম