মেঘনায় বিষ দিয়ে চিংড়ি শিকার, হুমকিতে অন্য মাছ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর কমলনগরে মেঘনা নদীর তীরের পানিতে চিংড়ি শিকার করতে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বিষ। মাছ শিকারিদের একটি চক্র রাতে এ অবৈধ কাজে তৎপর হয়ে ওঠে। স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলেও কর্ণপাত না করে ভয় দেখানো হয়।

এতে চিংড়ির পাশাপাশি নানা জাতের মাছের পোনা ও জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে নদীতে মাছ কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সাহেবেরহাটের জাজিরা এলাকায় গিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন ভয়াবহ তথ্য।

জেলেরা বললেন, একটি চক্র রাতের আঁধারে নদীর পানিতে বিষ দিয়ে চিংড়ি মাছ শিকার করছে। অল্প সময়ের জন্য তারা এসে মাছ নিয়ে চলে যায়। আর্থিকভাবে তারা লাভবান হতেই এভাবে মাছ নিধন করছে।

মেঘনায় বিষ দিয়ে চিংড়ি শিকার, হুমকিতে অন্য মাছ

লনীপাড়ার ব্যবসায়ী মঞ্জুর হোসেন ও রায়হান হোসেন জানান, একটি চক্র নদীতে বিষ দিয়ে চিংড়ি ধরে। সবশেষ ২৮ নভেম্বর রাতে অপরিচিত কয়েকজন লোক এসে নদীর পানিতে বিষ দেয়। এতে চিংড়ি মাছগুলো পানির ওপরে চলে আসে। এসময় ছোট অন্য প্রজাতির পোনা মাছ মারা যায়। ওই রাতে অসাধু লোকজন এক মণের মতো চিংড়ি নিয়ে চলে যায়। প্রতিবাদ করলে তারা প্রশাসনের ভয় দেখায়।

লনীপাড়া চৌরাস্তা এলাকার জেলে নিজাম মাঝি ও জসিম মাঝি জানান, কয়েক বছর ধরে নদীতে আশানুরূপ মাছ নেই। অনেক সময় খালি হাতেই ফিরতে হয়। জ্বালানি খরচও ওঠে না। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। নদীতে বিষ দিলে ছোট-বড় সব মাছই ধ্বংস হবে।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার অপরাধ। ঘটনাটি শুনেছি। রোববার নদীর তীরে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাজল কায়েস/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।