বাকপ্রতিবন্ধী ৩ ভাই, চা বিক্রি করে চলে সংসার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহ শহরের ষাটোর্ধ্ব জুছনারা বেগম স্বামীকে হারিয়েছেন দেড়যুগ আগে। তার সাত সন্তান। দুই মেয়ে ও পাঁচ ছেলে। তবে পাঁচ ছেলের মধ্যে তিনজনই বাকপ্রতিবন্ধী। তবে প্রতিবন্ধী হলেও তারা বসে নেই। চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

জুছনারা বেগম থাকেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্কে বহ্মপুত্র নদের তীরে চা বিক্রি করতে দেখা যায় তিন ভাইকে। কথা না বলতে পারলেও ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইশারায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, তিনটি চায়ের দোকানে তিন ভাই চা বিক্রি করছেন। ইশারায় কথা বলে যাচ্ছেন চা পান করতে আসা মানুষের সঙ্গে।

তারা হলেন স্বপন, মোনায়েম ও কুদ্দুস। এদের মধ্যে স্বপন বড়, মোনায়েম মেজো এবং কুদ্দুস ছোট।

বাকপ্রতিবন্ধী সহোদর ৩ ভাই, চা বিক্রি করে চলে সংসার

ইশরাক নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে এখানে প্রায়ই চা পান করতে আসি। চা বিক্রেতা তিন ভাইয়ের সঙ্গে ইশারায় কথা বলি। তারাও আমাদের ইশারা বুঝতে পারেন। যোগাযোগে কোনো সমস্যা হয় না।’

চা পান করছিলেন কাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডে থাকেন এই তিন ভাই। তাদের ব্যবহার খুবই ভালো। সবসময় তারা মিলেমিশে থাকেন। কারও সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হতে দেখিনি কখনো।’

বাকপ্রতিবন্ধী সহোদর ৩ ভাই, চা বিক্রি করে চলে সংসার

জুছনারা বেগমের ছোট ছেলে আলফাজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই একসঙ্গে থাকি। আমার তিন ভাই বাকপ্রতিবন্ধী। আমাদের ভিটেবাড়িটাও নেই। অন্যের জায়গায় থাকতে হচ্ছে। আমার ভাইয়েরা এখনো ভাতা বা সরকারি সহায়তা পায়নি।’

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তারা আবেদন করলে আমরা ভাতা দিতে পারবো। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় আছে।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।