সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

অফিস ৮টায় আসেন ১১টার পর, ৩ মাসে অফিস করেছেন ১০ দিন!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

অফিস টাইম সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। অথচ তিনি হাসপাতালে আসেন বেলা ১১টার পরে। যান নিজের ইচ্ছামতো। গত তিন মাসে হাজিরা খাতায় সই নেই। এভাবেই নিজের ইচ্ছামতো হাসপাতালে আসেন-যান মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মশিউর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন মশিউর রহমান। ২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোনায়েম খানের শ্যালক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে আধিপত্য বিস্তার করেন তিনি। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো অফিস করে নিচ্ছেন সরকারি বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা। গত তিন মাসে হাজিরা খাতাই তার সই নেই।

সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হারবাল সহকারী মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান সহকারী মশিউর রহমান গত তিন মাসে সর্বোচ্চ ১০-১২ দিন অফিস করেছেন। দীর্ঘদিন পর চলতি সপ্তাহে গতকাল (সোমবার) তাকে অফিসে দেখেছি। তিনি সারাবছর বেলা ১১টায় অফিসে আসেন। আবার নিজের ইচ্ছামতো চলে যান।’

সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স/ অফিস ৮টায় আসেন ১১টার পর, ৩ মাসে অফিস করেছেন ১০ দিন!

সরেজমিন গত এক সপ্তাহে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রধান সহকারী মশিউর রহমানকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কক্ষে তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।

এসময় তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত তিন মাস ঠিকমতো অফিস করেছি। মাঝে ১৫ দিন ছুটিতে ছিলাম।’

হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্যারের অনুমতি লাগবে। আপনি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।’

মশিউর রহমান আরও বলেন, আমি ঢাকার আজিমপুর থেকে অফিস করি। আসতে একটু দেরি হয় এটা ঠিক আছে। মাঝে মধ্যে দু-একদিন অফিসে আসা হয় না। একপর্যায়ে নিজেকে মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোনায়েম খানের ‘শ্যালক’ বলে পরিচয় দেন তিনি।

সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘মশিউর রহমান গত শনিবারও অফিস করেছেন। আমি কারও পক্ষে সাফাই করবো না। আমার অফিসের অনেকেরই সমস্যা রয়েছে।’

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘তার বিষয়ে দুদিন আগে অবগত হয়েছি। এটা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বর্তমানে ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। তিনি ফিরে এলে প্রধান সহকারী মশিউর রহমান খানের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।