সরকার পাল্টালেও হয়রানি পিছু ছাড়েনি ব্যবসায়ী ফরিদুলের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচনী প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে মিথ্যা মামলার আসামি হন। এখনো প্রশাসনিক হয়রানিতে দিশাহারা জীবন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম।

চার বছর আগে থেকে শুরু হওয়া হয়রানি থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্থানে ৫৭ লাখ টাকা দিতে হয়েছে তার। এসব টাকা যোগাড় করতে দোকান বিক্রির পাশাপাশি বাড়িভিটাও বন্ধক রাখতে হয়েছে। ধারদেনা করতে হয়েছে স্বজনদের কাছ থেকে।

৫ আগস্ট পরিবর্তিত সময় এলেও বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে এখনো ওই সময়ের সোর্সদের ওঠাবসা থাকায় ভোগান্তি যেন থামছে না। এখনো রাতবিরাতে শৃংখলা বাহিনীর লোক পরিচয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের এক হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরে স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা কামনা করেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালীর জুমেরছড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম। তিনি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

এলাকায় দোকান করে সংসার চালানো ফরিদুল আলমের ভাই নুরুল আলম সওদাগর গত ইউপি নির্বাচনে পালংখালী ১নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হন। তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। একদিকে বিএনপি পরিবারের সন্তানের মেম্বার হওয়া, অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধাচরণ ভালোভাবে নেইনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা। তারা পুরো পরিবারের পিছু লাগে। এদের অনেকে এলাকায় বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচিত। মিথ্যা তথ্য দিয়ে শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে বিএনপি পরিবার হিসেবে বারবার বসতঘরে তল্লাশি চালায়। কিন্তু কখনো কোনো অবৈধ পণ্য পায়নি তল্লাশিকারিরা।

তারপরও ফরিদকে চারবার নিয়ে যাওয়া হয়। একেক সময় একেক এমাউন্ট দিয়ে সর্বমোট ৫৭ লাখ টাকা হাতানো হয়েছে। আসামিও করা হয়েছে একাধিক মামলায়। এখনো অপহরণের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের সেই দোসররা এখনো সেসব অপকর্ম দেদারছে করছে।

ব্যবসায়ী ফরিদ বলেন, সৎভাবে জীবিকা নির্বাহ করছিলাম। কিন্তু গত ২০২১ সালের নির্বাচনে বড়ভাই নুরুল আলম মেম্বার পদে নির্বাচিত হওয়া আমাদের জন্য কাল হয়েছে। নির্বাচনকালে স্থানীয় মোহাম্মদ হোছাইন ছোটন, নুরুল আজাদ আশিক, আলমগীর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সহযোগী ছিলেন। এরাই ধারাবাহিকভাবে আক্রোশে আমার পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। গত ১৭ নভেম্বর সকালেও প্রতিপক্ষরা বাড়ির চলাচলের রাস্তায় এসে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার খাতিরে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে তার এসব অভিযোগ বিষয়ে র্যাব হোয়াইক্যং কার্যালয়ের কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম বলেন, মাদককারবারিরা সুবিধা করতে না পারলে এমন মিথ্যা অভিযোগ করবেই।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।