চাঁদপুরে নতুন করে ডেঙ্গুর প্রকোপ
চাঁদপুরে নতুন করে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রভাব। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১৫ জনসহ মোট ৩৬ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে।
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকেই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুরে নিজের এলাকায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অক্টোবর মাসে ১৩০ জন চিকিৎসা নেন। নভেম্বরে ১৯ দিনেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৭ জন। নারীর চেয়ে পুরুষেরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জনের পরিসংখ্যান বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, অক্টোবরে ৪০১ জন চিকিৎসা নিলেও নভেম্বরে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫৩ জন। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে মানুষকে সচেতন ও আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানায়য় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত শারমিন বলেন, আমিসহ আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত। আমরা সবাই ঢাকার কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছি। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য বাড়ি চলে আসি, তারপর চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার সোহেল বেপারী বলেন, স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। পুরান বাজার এলাকার অধিকাংশই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। চাঁদপুর পৌরসভা ঠিকভাবে ওষুধ ছিটায় না। তারা ঠিকভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর উপদ্রব একটু কমে আসতো।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। যদি কারো শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়, বমি কফ ও পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত করনের সব ধরনের মেডিসিন পর্যাপ্ত আছে। এছাড়া স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধপত্র সবকিছুই ঠিকঠাক আছে।
শরীফুল ইসলাম/এফএ/এএসএম