ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ার ধুনটে বিয়ের দাবিতে নাছিম সেখ (২৬) নামের এক শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন কলেজছাত্রী (২২)। তার দাবি, নাছিম সেখের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে নাছিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

নাছিম সেখ উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাব খাদুলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ওই তরুণী নাছিম সেখের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এ বাড়িতে এসেছেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত নাছিম সেখ পালিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাছিম সেখ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার বাড়িতে ডেকে এনে তিনি পালিয়ে গেছেন।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। ফাঁদে ফেলে নাছিম তার সঙ্গে গোপনে একাধিকবার সময় কাটিয়েছেন। এরপর থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। পরে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে এনে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তার পরিবারও এ সম্পর্ক মানতে নারাজ। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। নাছিম তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।

বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকায় স্কুলশিক্ষক নাছিম সেখের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে নাছিম সেখের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটি বাড়িতে ওঠার পর আমার ছেলে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তার সন্ধান মিলছে না। তবে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে কি না তা বলতে পারছি না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী জানান, এ ঘটনায় নাছিম সেখের বাবা বাদী হয়ে মেয়েটির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।